চিরতা একটি বীরুৎ জাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Swertia chirayita (Roxb. ex Fleming) H. Karst.। পাতা কম-বেশি ১০ সেমি দীর্ঘ হয়। এই গাছের উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার। এর স্বাদ তেঁতো। ভিবিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে চিরতা বেশ কার্যকর।
চিরতার ভেষজ গুণঃ
- অ্যালার্জিতে শরীর ফুলে উঠলে চিরতার জল বেশ উপকারী। রাতে পাঁচ গ্রাম পরিমান চিরতা ২৫০ মিলিলিটার গরম জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে দু-তিনবারে খেতে হবে।
- ডায়েরিয়া ও লিভারের বিভিন্ন রোগে চিরতার জল খুব উপকারী।
- কৃমি থেকে মুক্তি পেতে হলে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম চিরতা অল্প মধু বা একটু চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।
- চুলকানির ক্ষেত্রে ২০ গ্রাম চিরতা অল্প জল দিয়ে ছেঁকে লোহার কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে তাতে ভাজতে হবে, যেন পুড়ে না যায়। এর পর নামিয়ে ছেঁকে অল্প অল্প করে নিয়ে চুলকানিতে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে
- গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বমি বমি ভাব হলে এক গ্রাম চিরতা গুঁড়ো করে চিনির জলে মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে।
- হাঁপানির প্রকোপ বেশি হলে আধা গ্রাম চিরতা গুঁড়া তিন ঘণ্টা পর পর মধু মিশিয়ে দুই থেকে তিন বার অল্প অল্প করে চেটে খেলে, হাঁপানির প্রকোপ কমবে।
- চুল পড়ে যাওয়া রোধেও চিরতা বেশ উপকারী। এর জন্য তিন গ্রাম চিরতা এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেই জল ছেঁকে মাথা ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমবে।