আমরাজানি গাজা একটি ভয়ংকর নেশার উপকরন। কিন্তু দুনিয়ায় প্রতিটি জিনিসের ভাল মন্দ দুটি দিক ই রয়েছে। ঔষধি গুণের জন্য দিন দিন কদর বাড়ছে গাঁজার তেলের।
যুক্তরাজ্যে বৈধকরণের পর ব্রিটেনে এই তেলের বিপণনের দায়িত্ব নিয়েছে লন্ডন ও কেন্টের
সংস্থা ইউকে সিবিডি। মারিজুয়ানা তথা গাঁজার
তেলের ঔষধি গুনাগুণ প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তার
নিয়ন্ত্রিত চাষ ও বিপণন আইনি অনুমোদন পেয়েছে।
মৃগি রোগ মস্তিষ্কের রোগ।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় নিউরোলোজিক্যাল ডিজিজ। যারা
দীর্ঘ দিন ধরে জটিল মৃগি রোগে ভুগে থাকেন তারা জীবনের একসময় মারাত্মক
মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। সন্দেহ, সংশয় উপসর্গ এদের
বেলায় বেশি মাত্রায় হতে দেখা যায়। সন্দেহ সংশয়ের কারণে রোগী খাবার গ্রহণ
পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে পারে। মৃগি রোগীরা যে ধরনের সাইকোসিস সমস্যায়
আক্রান্ত হয় তাকে বলা হয় ক্রনিক প্যারানয়েড হ্যালুসিনেটরি সাইকোসিস।
সুতরাং
নিজস্ব কোন পদ্ধতি নেই যে সেই পদ্ধতিতে মৃগী রোগী ভালো হয়। অনেক
কুসংস্কার সমাজে দেখা যায় মৃগী রোগীদের চিকিতসার ক্ষেত্রে যা অমানবকি ।
জানা গিয়েছে, মৃগী-সহ বেশ কিছু রোগের উপশমে অব্যর্থ এই গাজার তেল। গত ৩১ জুলাই ব্রিটেনে বৈধতা পায় ক্যানাবিস (সিবিডি) অয়েল অর্থাত্ গাঁজার তেল। ‘দ্য কালচার হাই’-এর মতো তথ্যচিত্রের সুবাদে এই তেলের গুণের কথা প্রচার পায়।
গাঁজার মূল উপাদান হল টিএইচসি। আর এই মুল উপাদান টিএইচসি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সিবিডি
উপাদানটি কাজে লাগিয়ে ঔষধি তেল তৈরি করা হয়েছে। মূল কথা হল,
গাঁজার মধ্যে থাকা নেশার উপাদানটি এখানে বাদ দেওয়া হয়েছে।
টিএইচসি বিহীন গাঁজা গাছ, যার নাম হেম্প, এটিই মুলত ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা
হয়। উক্ত সংস্থার নামকরণের পেছনে রয়েছে শার্লট ফিজি-র কাহিনি। মাত্র ৫ বছর বয়সে
প্রবল মৃগীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তাঁকে প্রথম মেডিক্যাল মারিজুয়ানার ডোজ
দেওয়া হয়। চিকিত্সায় সাফল্য পাওয়ার পর গাঁজার ঔষধি গুণের বিষয়টি আরো
প্রচার পায়।
চিকিত্সকদের মতে, হেম্প-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস, খণিজ পদার্থ এবং
ওমেগা ৩ ও ৬। ব্রিটেনে ওষুধ হিসেবে তার চাহিদা ক্রমে বাড়ছে।