Saturday, August 15, 2015

বিভিন্ন গল্প আর উপন্যাসে অদৃশ্য দ্বীপের কথা শোনা যায়। সেটা কখনো বিশাল এক দ্বীপ আবার কখনো গভীর সমুদ্র! তাহলে বাস্তবে কি থাকতে পারে এমন অদৃশ্য দ্বীপ? বিশ্ব মানচিত্র, গুগল ম্যাপ এমনকি নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রেও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ‘স্যান্ডি আইল্যান্ড’ নামের একটি লম্বাট দ্বীপের খোঁজ পাওয়া যায়। কিন্তু আদৌ কি দ্বীপটির কোনো অস্তিত্ব আছে?

 সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ দ্বীপটির খোঁজে বের হয়ে একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। গুগল ম্যাপে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রেঞ্চ শাসিত নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমায় এ দ্বীপটির অবস্থান নির্দেশ করা হলেও গবেষকেরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্যান্ডি দ্বীপের কোনো অস্তিত্বই নেই। মানচিত্রে যেখানে এ দ্বীপটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে শুধু সাগরের নীল জলরাশি খেলা করছে।


বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা সম্প্রতি স্যান্ডি দ্বীপের খোঁজে বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, যেখানে স্যান্ডি দ্বীপটি থাকার কথা, সেখানটায় সাড়ে চার হাজার ফুটের বেশি গভীর পানি। গবেষক মারিয়া সেটন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গুগল আর্থ, বিশ্ব মানচিত্রসহ অন্যান্য মানচিত্রে এ দ্বীপটির অবস্থান দেখে সেখানে গিয়েছিলাম অথচ সেখানে গিয়ে দেখি দ্বীপটি নেই। তিনি বলেন, ‘নাবিকদের ব্যবহূত মানচিত্রে ওই এলাকায় সমুদ্রের গভীরতা চার হাজার ৬২০ ফুট দেখানো হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন ছিল এত গভীর সমুদ্রে কী করে লম্বা একটা দ্বীপ থাকতে পারে। এ রহস্য জানার জন্যই সেখানে যাওয়া।’ মারিয়া সেটন আরও বলেন, এ দ্বীপটি কীভাবে মানচিত্রে স্থান পেল, আমাদের কাছে সে তথ্য জানা নেই। তাই অদৃশ্য এ দ্বীপটির বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হবে।’ অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, স্যান্ডি দ্বীপটির যদি অস্তিত্ব থাকে, তবে তা নিউ ক্যালেডোনিয়ার সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকতে পারে। তবে ফ্রান্সের সরকারি মানচিত্রে তার উল্লেখ নেই। তাহলে স্যান্ডি দ্বীপ কোথায় হারাল?
 

অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক মানচিত্র ও গুগল আর্থে এ দ্বীপটির অস্তিত্ব ভুল করে দেখানো হতে পারে। যার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বছরের পর বছর। এদিকে গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুগল ম্যাপ তৈরির সময় বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে ও পরামর্শ নিয়ে তবেই এ ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তবে পৃথিবীতে অনেক কিছুই খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই অনেক কিছুই বিলীন হয়ে যেতে পারে। 


উৎসঃ washingtonpost

Tagged: